আমরা একটি স্বাধীন দেশের মানুষ। এইটাই আমাদের পরিচয়। কিন্তু স্বাধীনতা কি আসলেই আমরা পেয়েছি?? আমরা কি পারছি আমাদের ভাল লাগা, না লাগার কথা গুলো আমাদের প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে ঠিক ঠিক ভাবে share করতে? কখনো পারিনি...আর মনে হয় কখনো পারবও না...!!!! সম্মূখে হাজার অন্যায় অনাচার দেখে নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যদি কখনো তার প্রতিবাদ করার মনভাব আসেও, সেখানে বাঁধ সাদে কিছু কাছের মানুষ অথবা কোন অশূভ শক্তি। এই আমাদের আবহমান বাংলার চিরাচরিত রূপ। কেউ কখনো কারো প্রতি সহায়তার হাত বাড়াতে রাজি নয়। মানুষ এতটাই স্বার্থপর যে তারা তাদের কার্জ সিদ্ধির জন্য নিজের রক্তের সন্তানকেও বলি দিতে কখনো পিছ পা হয় না।
পরিচালক জাকির হোসেন রাজু তার বাংলা সিনেমা “ভালোবাসলেই ঘর বাধাঁ যায় না”তে খুব ভাল ভাবেই এই কথা গুলোকে ফুঁটিয়ে তুলেছেন। আসলেই সিনেমার কাহিনীতে একটা অসাধারণ বাঙালীয়ানা আছে, যা প্রতিটি দৃশ্যের পরতে পরতে দৃশ্যায়মান। ক্লাইমেস্ক-এর চিত্রনাট্য বর্তমান বাংলাদেশি অন্যান্য সিনেমার থেকে অনেক অনেক আলাদা, যে কাউকে মুগ্ধ করবে। অনেক হাসির খোরাকও আছে। ধনী আর গরীবের সংঘর্ষ নিয়ে বাংলাদেশে অনেক সিনেমা হয়েছে, কিন্তু আমার দেখা সিনেমাগুলোর মধ্যে এটা একটু আলাদা এবং বাস্তবধর্মী। সিনেমার প্রধান তিনটি চরিত্র সুর্য (সাকিব খান), অজন্তা (রোমানা) এবং আলো (অপু বিশ্বাস) তাদের নিজ নিজ অবস্থানে একেবারে perfect. আমি অপু বিশ্বাসের যত গুলো সিনেমা দেখেছি, আমার মনে হয়েছে এই আলো চরিত্রটি উনি ছাড়া অন্য কেউ এত ভাল করে ফুটিয়ে তুলতে পারত না। মেক আপ, গেট আপ, চেহারা এবং অভিনয় সব দিকেই মানানসয়ী। আর একটা জিনিস ভাল লেগেছে তা হলো কাহিনী বিন্যাস। দুই নায়িকাকেই সমান ভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ভাল লাগেনি সিনেমার নেপথ্য সংগীত। মাঝে মাঝে নেপথ্য সংগীত শুনলে মনে হয়, কোন ফ্যান্টাসি সিনেমা দেখছি অথবা আলিফ লায়লা। হা হা হা...নেপথ্য সংগীত সিনেমার বড় একটা অংশ, এখানে ফাঁকি দিলে সিনেমার বিশেষ দৃশ্য গুলোর মজাই মাটি হয়ে যায়। এটা আমাদের পরিচালক সাহেবদের বোঝা উচিত। আরো ভাল লাগেনি আলী আকরাম শূভর সুর এবং সংগীত সাথে গান গুলোর চিত্রায়ন। পরিচালক জাকির হোসেন রাজুর আগের সিনেমা “আমার প্রাণের প্রিয়া”য় কিন্তু এটা দেখা যায়নি। শুধু ঢাকাতে চিত্রায়ন হবার পরেও গান সহ গানের চিত্রায়ন ছিলো অসাধারণ। সেখানে “ভালোবাসলেই ঘর বাধাঁ যায় না” অনেকটা পিছিয়ে, যদিও একটা গানের চিত্রায়ন হয়েছে ব্যাংককে। তবুও তা মন কাড়ে না। সাউন্ড সিস্টেম as usual, কিন্তু প্রিন্ট কোয়ালীটি খারাপ না, অনেকটা develop করা হয়ছে। সিনেমাটির গল্পই এর প্রাণ সাথে পাত্র পাত্রীদের অভিনয়। সবমিলিয়ে সিনামটা এ বছরের সেরা একটা সিনেমা হবে বলে আশা করা যায়।
পারিবারিক বাস্তবধর্মী কাহিনীসম্পন্ন সিনেমা সবাই পছন্দ করে। তাই সবার উদ্দেশে বলব, সিনেমাটি দেখলে হৃদপিন্ডে একটু হলেও নাড়া দিবে, কিছুটা হলেও ভাবাবে, নির্মল কিছু আনন্দ পাওায়া যাবে সাথে সাথে পয়সাও উসুল হবে...হাহাহাহাহাহাহাহা!!!!!!!
-Anup Kumar Biswashttp://www.facebook.com/group.php?gid=58218312589&v=app_2373072738&ref=ts#!/Anup.Kumar.Biswas
1 comments:
VALAO NA YOUR SOBE
Post a Comment
Thanks for your comment